আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের সাবেক বিএনপি নেতা ও আইনজীবী ফয়জুল করিম।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
এরপরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে তাঁর দলে যোগদানের খবর প্রচার করেন।
ফয়জুল করিম গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
তিনি কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ফজলুর করিমের ছেলে।
ফয়জুল করিম নিজ ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবশ্যই আসবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ ‘অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে তিনি ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওতে বক্তব্য দেন।
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়। আমি কিশোরগঞ্জ থেকে ২১ অক্টোবর অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক জুলাই সনদের তীব্র বিরোধিতা করি।’
ফয়জুল করিম কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ এখনো চলমান।
দলবদলের কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে ফয়জুল করিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। ৫ আগস্টের পর মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, চেতনা ছিল, এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগ করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিএনপিতে এখন ফয়জুল করিমের কোনো পদ নেই। তাঁর কথাবার্তাও এখন ঠিক নেই। তাঁর আওয়ামী লীগে যোগদানেরও কোনো গুরুত্ব নেই।