ইসমাঈল আযহার
প্রকাশ : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়ায় আইএসের একাধিক ঘাঁটিতে ব্যাপক মার্কিন হামলা

সিরিয়ায় আইএসের একাধিক ঘাঁটিতে ব্যাপক মার্কিন হামলা

সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে জ্ঞাত আইএস অবকাঠামো ও অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে শতাধিক গোলা ব্যবহার করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক মার্কিন অনুবাদক নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আইএস ঘাঁটিতে কঠোর আঘাত হানছে।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, যুদ্ধবিমান, “হকআই স্ট্রাইক” নামে অভিযানটি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকেল ৪টায় শুরু হয়। হেলিকপ্টার এবং কামান থেকে গুলি ছুড়ে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে জর্ডানের বিমানও অংশ নিয়েছে।

সেন্টকমের কমান্ডার অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বলেন, আমেরিকান বা তাদের অংশীদারদের ক্ষতি করতে চায় যারা, তাদের বিরুদ্ধে নিরলস অভিযান চলবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, এটি যুদ্ধের শুরু নয়, বরং প্রতিশোধের ঘোষণা। মার্কিনিদের আক্রমণ করলে বিশ্বের যেকোনও জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলবে।

ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প বলেন, হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ আমরা কঠোরভাবে কার্যকর করছি। সিরিয়ার সরকারের এতে পুরো সমর্থন রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, রাক্কা ও দেইর ইজোরের নিকটস্থ আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যেখানে আইএসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সহ কয়েকজন নিহত হয়েছে।

আইএস এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি এবং বিবিসি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল যাচাই করতে পারেনি।

এর আগে সেন্টকম বলেছিল, পালমিরার প্রাণঘাতী হামলাটি একজন আইএস বন্দুকধারী চালায়, যাকে পরে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হয়। এক পেন্টাগন কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনা সিরিয়ার যেখানে ঘটেছে, দামেস্কের সেখানে নিয়ন্ত্রণ নেই।

২০১৯ সালে মার্কিন-সমর্থিত জোট জানায়, সিরিয়ায় আইএস ভূখণ্ড হারিয়েছে, কিন্তু এরপরও ওই গোষ্ঠী মাঝেমধ্যে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের অনুমান, এখনও সিরিয়া-ইরাকে গোষ্ঠীটির পাঁচ থেকে সাত হাজার সশস্ত্র সদস্য রয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় অবস্থান করছে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অন্য বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে।

সিরিয়া সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আইএসবিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় পড়া চলছে

1

সর্বমিত্রর ভিডিও শেয়ার করে যা বললেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি

2

দেশ ছাড়তে চাপ দেওয়া হচ্ছে ইমরান খানকে

3

ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের নিন্দা ফখরুলে

4

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

5

একদল চলে গেছে, আরেকদল পেশিশক্তিতে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়েছে: জ

6

বরেন্দ্র অঞ্চলে নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে শিশুর মৃত্যু, শত শত

7

জনসমুদ্রে শক্তি প্রদর্শনের পর আজ আসন সমঝোতার বৈঠকে ৮ দল

8

মুশফিকের বিশেষ মাইলফলকে মাহমুদউল্লাহর শুভেচ্ছা

9

পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ: রাজউক চেয়ারম্যান

10

দল যার যার, লীগ পেটানোর দায়িত্ব সবার: হাদি

11

‘মিস ইউনিভার্স’ হলেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ

12

জিপিএ-৫ ও পাসে মেয়েরা এগিয়ে

13

বিএনপির জন্য পরিবার 'ত্যাগ', ধানের শীষ পেলেন সেই শ্রাবণ

14

দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে যা জানালেন তারেক রহমান

15

‘আমার জীবনডা শেষ করলা’ বলে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন রিপন

16

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি: আইন উপদেষ্টা

17

শাহবাগের নাম হবে ‘শহীদ ওসমান হাদি চত্বর’

18

ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেবে বিএনপি : তারেক রহমা

19

ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহা

20
সর্বশেষ সব খবর