ইসমাঈল আযহার
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

৪০ ফুট মাটি খুঁড়েও উদ্ধার করা যায়নি সাজিদকে

৪০ ফুট মাটি খুঁড়েও উদ্ধার করা যায়নি সাজিদকে

রাজশাহীতে গভীর নলকূপের গর্তে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারে এখনও  কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ইতোমধ্যে তিনটি এক্সকেভেটর দিয়ে পাশে ৪০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি করে প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন মূল গর্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা । 

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম এসব তথ্য জানান।

গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর তানোরে দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদ গভীর গর্তে পড়ে যায়। শিশুটি তার মায়ের হাত ধরে কেটে নেওয়া ধানের ক্ষেতে হাঁটছিল। হঠাৎ গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। সাজিদ উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবের ছেলে।

রাকিব ঢাকায় একটি জুট মিলে ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন। গত বছর পুকুরপাড়ে গভীর নলকূপের জন্য মাটিতে খুঁড়ে রাখা ৩০-৩৫ ফুট গর্তে হঠাৎ তলিয়ে যায় সে। এরপর থেকেই পুরো উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। শুরুতে শিশুটির সাড়া পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে সেই সাড়া মিলিয়ে যেতে থাকে।

বেলা ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করতে থাকে। এতে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত এক্সকেভেটর দিয়ে মাটিকাটা ও তা সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম।

স্থানীয়রা জানায়, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এলাকাটিতে বর্তমানে গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে কোয়েলহাট গ্রামের তাহের নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কিনা-তা যাচাই করতে গর্তটি খনন করেছিলেন। পরে তিনি গর্তটি ভরাটও করেন এবং পরে বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে সেখানে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয় বলে দাবি করা হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের মোট তিনটি ইউনিট। 

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, আমাদের ফায়ার ব্রিগেডের টিম অনুসন্ধান করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা নিশ্চিত হবো ৪০ ফুটের মধ্যে পাচ্ছি কিনা। যদি না পাই, এবং ভিকটিম যদি আরো গভীরে চলে যায়, তবে বিকল্প পদ্ধতিতে চেষ্টা করবো। সেই পদ্ধতিতে ভিকটিমকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

সহকারী পরিচালক আরো বলেন, ভিকটিম আটকা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার চার ফুট দূরত্বে আমরা টানেল করেছি। সেখানে ভিকটিম আছে কিনা, আমরা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নই, অনুসন্ধান চলছে। তিনি বলেন, গতকালও আমরা সাড়া পাইনি, আজও পাইনি। ৩০ থেকে ৩৫ ফুটের মধ্যে পাওয়া না গেলে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও শিশুর স্বজনরা অনুমতি দিলে মাটির গভীরে লোহার যন্ত্র ব্যবহার করে দেখতে পারি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাসিনাসহ সেনা কর্মকর্তাদের পরবর্তী শুনানি ৯ ডিসেম্বর

1

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় সিরিয়াসহ ৭ দেশ

2

কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর করা সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

3

বিএনপিতে নমিনেশন পরিবর্তনের হিড়িক!

4

বাউলের কটূক্তি: মানিকগঞ্জে তাওহিদী জনতার সংবাদ সম্মেলন, বিশৃ

5

সম্মান দেখিয়ে মুশফিক মাহমুদুল্লাহকে কিনলো রংপুর-রাজশাহী

6

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির দোয়া

7

হাসিনার রায় ঘিরে ছড়িয়ে পড়া ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি সরান

8

আবারও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘাত, ঝুঁকিতে ট্রাম্পের

9

ধর্মের নামে দেশকে বিভাজন করতে চায় না বিএনপি: মির্জা ফখরুল

10

আরও ৪ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস

11

প্রচলিত তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে দেশে শান্তি ফিরবে না: জামায়াত আমির

12

গুলিবিদ্ধ হাদিকে দেখতে গিয়ে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস

13

দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের সংশয় নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ

14

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও দুই ভাগে বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো’

15

সফল হতে হলে মামদানিকে ‘ওয়াশিংটনের প্রতি সম্মানজনক’ আচরণ করতে

16

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আগুন

17

শুক্রবার থেকে বন্ধ ঘোষণা মেট্রোরেল সেবা

18

রাজধানীসহ সারাদেশে ৫.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

19

‘সেরে উঠুন দেশনেত্রী, আপনার প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ’

20
সর্বশেষ সব খবর