ইবনে জারির
প্রকাশ : শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

মেয়েদের কাছে ছেলেদের হার

মেয়েদের কাছে ছেলেদের হার

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে আবারও পুনরাবৃত্ত হলো একটি চিরচেনা চিত্র, শিক্ষায় মেয়েদের অগ্রগতি এবং ছেলেদের ক্রমাগত পিছু হটা।

পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েরা এখন শুধু পরীক্ষায় ভালো করছে না, তারা আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা ও অধ্যবসায়ের দিক থেকেও এগিয়ে। এই প্রবণতা বিগত পাঁচ বছর ধরে স্থায়ীভাবে বাড়ছে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একযোগে দেশের সব শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির। 

এ বছর মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাঁদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। পাসের হারে মেয়েরা ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ নিয়ে এগিয়ে, আর ছেলেদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ মেয়েরা ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি সফল। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও মেয়েদের সাফল্য নজরকাড়া। মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন। অর্থাৎ প্রায় ৫ হাজার বেশি মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এই সাফল্য একদিনে আসেনি। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এক দশক ধরে মেয়েদের শিক্ষায় অংশগ্রহণ, মনোযোগ ও ধারাবাহিকতা ক্রমেই বাড়ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি, বিনা মূল্যে বই, সাইকেল সহায়তা এবং মেয়েদের বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধির মতো সরকারি উদ্যোগগুলো এই সাফল্যের মূলভিত্তি তৈরি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা মেয়েদের স্কুলে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছি। আজকের ফলাফল সেই প্রচেষ্টার বাস্তব প্রমাণ। মেয়েরা শুধু পরীক্ষায় ভালো করছে না, তারা নিয়মিত ক্লাস করছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও শেখার সুযোগ নিচ্ছে।’

একসময় গ্রামের সমাজে মেয়েদের পড়াশোনা বিলাসিতা মনে করা হতো। এখন তা পরিবারে সম্মান ও গর্বের প্রতীক। বাবা-মায়েরা বুঝতে পারছেন, মেয়েদের শিক্ষিত হওয়া মানে পরিবারের স্থিতি ও মর্যাদা বাড়া। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষক মো. রহিম বলেন, ‘আমার মেয়ের ফলাফল দেখে গ্রামের সবাই অবাক। আগে ভাবতাম, মেয়েদের বিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ। এখন দেখি, মেয়েই পরিবারের গর্ব।’ অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে অভিভাবকেরা মেয়েদের পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। তারা জানেন, মেয়েদের ভবিষ্যৎ এখন কেবল গৃহবন্দি জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তারা এখন প্রশাসন, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, সাংবাদিকতা, এমনকি প্রযুক্তিক্ষেত্রেও জায়গা করে নিচ্ছে।

মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, ছেলেদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবই তাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। ছেলেদের মধ্যে মোবাইল গেম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অনলাইন বিনোদনের আসক্তি ক্রমেই বাড়ছে। ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। মনোবিজ্ঞানী ড. ফারহানা রহমান বলেন, ‘ছেলেরা কৈশোরে স্বাধীনতার চাপে থাকে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা অনেক সময় শৃঙ্খলা হারানোর দিকে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মেয়েরা পরিবার ও সমাজের নিয়ন্ত্রণে থেকে আত্মশাসনের অভ্যাস গড়ে তোলে।’ আরও একটি কারণ হলো ‘অর্থনৈতিক মানসিক চাপ।’ পরিবারগুলো এখনো মনে করে ছেলেকে উপার্জনক্ষম হতে হবে। ফলে অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটোখাটো ব্যবসা বা কাজ করে। এতে তারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে।

শিক্ষা বোর্ডের তথ্য বলছে, গ্রামীণ এলাকাতেও মেয়েরা ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ, সেখানে মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট প্রণোদনা কার্যকর হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, যশোর বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহের নওয়াপাড়ার ছাত্রী তানিয়া আক্তার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার বাবা একজন রিকশাচালক। তানিয়া বলেছে, ‘বাবা-মা সব সময় পাশে ছিলেন। স্কুলের শিক্ষকরা মেয়েদের বাড়তি সময় দিতেন। আমি তাদের সম্মান রাখতে পেরেছি।’ শহরাঞ্চলে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেলেও, সেখানেও মেয়েরা ক্রমে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠছে। ঢাকার ধানমণ্ডির আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েরা এখন দলবদ্ধভাবে পড়ে, একে অপরকে সহায়তা করে। ছেলেরা একা থাকে, প্রতিযোগিতায় হারলে হতাশ হয়। এই মানসিক ব্যবধানই বড় কারণ।’

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিক নির্দেশ করে। মেয়েরা পড়াশোনায় মনোযোগী, নিয়মিত, দায়িত্বশীল। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হবে ছেলেদেরও সেই অনুপ্রেরণা দেওয়া।’ চট্টগ্রাম বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছেলেরা অনেক সময় প্রতিযোগিতাকে অহংকার হিসেবে নেয়, মেয়েরা নেয় দায়িত্ব হিসেবে। এই মানসিক ফারাকই তাদের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়।’

শিক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়েদের অগ্রগতি উদযাপনের পাশাপাশি ছেলেদের জন্য নতুন শিক্ষা মডেল প্রয়োজন। স্কুলে মনো-পরামর্শ, অভিভাবক কর্মশালা এবং শিক্ষার্থীদের সময় ব্যবস্থাপনা শেখানো এখন জরুরি। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি ছেলেদের মনোযোগ ফেরাতে না পারি, তবে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মেয়েদের ভর্তি হার ক্রমে বাড়ছে, যা একদিকে ইতিবাচক হলেও, অপরদিকে এটি একটি সামাজিক সতর্কবার্তা।’

সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, মেয়েদের অগ্রগতি কেবল শিক্ষার ফল নয়, এটি একটি সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিফলন। নারী শিক্ষার প্রসার মানে কর্মসংস্থান ও নেতৃত্বে তাদের অংশগ্রহণও বাড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রুবিনা আখতার বলেন, ‘মেয়েরা এখন আত্মনির্ভরতার প্রতীক। তারা জানে, শিক্ষা মানে স্বাধীনতা, আর স্বাধীনতা মানে মর্যাদা। এই ধারণাটিই তাদের শক্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেদের মধ্যে এখন একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে : তারা বুঝতে পারছে না শিক্ষার লক্ষ্য কী। চাকরি সংকট, প্রতিযোগিতা, মানসিক চাপ সব মিলিয়ে তারা হতাশ। অথচ মেয়েরা দৃঢ় লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।’

গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে। ২০২০ সালে যেখানে মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে। একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সরকারি চাকরিতেও। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর গত দুই ব্যাচে নারী সফলতার হার ছিল গড়ে ৫৮ শতাংশ। বিশেষ করে প্রশাসন ও শিক্ষা ক্যাডারে মেয়েদের আধিপত্য বাড়ছে। শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েদের এই অগ্রগতি ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে একই সঙ্গে ছেলেদের কর্মদক্ষতা কমে গেলে সমাজে কর্মসংস্থান ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

শিক্ষা শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, এটি চরিত্র গঠন ও দায়িত্ববোধ শেখায়। এই জায়গাতেও মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশি সফল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মেয়েরা সময়ানুবর্তিতা, আচরণ ও শৃঙ্খলায় সচেতন। তারা ক্লাসে নিয়মিত, পরীক্ষায় প্রস্তুত এবং পরিবার ও শিক্ষকদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখে। অন্যদিকে ছেলেদের মধ্যে উদাসীনতা ও আত্মতুষ্টি বেড়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, তারা ‘শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি’ নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ বাড়ালেও, সেটিই এখন অনেক শিক্ষার্থীর বিভ্রান্তির কারণ। অনলাইন গেম, টিকটক বা ইউটিউব কনটেন্টে সময় নষ্ট করার প্রবণতা ছেলেদের মধ্যে বেশি। শিক্ষাবিদরা বলছেন, ডিজিটাল শিক্ষাকে যদি নিয়ন্ত্রিত ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে ছেলেরা আবারও প্রতিযোগিতায় ফিরতে পারে। এজন্য পরিবার, শিক্ষক ও প্রশাসন, তিন পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভবিষ্যতে যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সমাজে নেতৃত্বের কাঠামোতেও পরিবর্তন আসবে। মেয়েরা যেমন শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে জায়গা দখল করবে, তেমনি পুরুষদের জন্য তৈরি হবে নতুন চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এই পরিবর্তন যদি ভারসাম্যপূর্ণভাবে না ঘটে, তাহলে কর্মবাজারে লিঙ্গভিত্তিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে ইতিবাচক দিক হলো, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সমাজকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

২০২৫ সালের এইচএসসি ফলাফল শুধুই একটি শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান নয়, এটি বাংলাদেশের শিক্ষার দিকনির্দেশনা। মেয়েরা প্রমাণ করেছে, সুযোগ পেলে তারা কেবল সমান নয়, বরং অগ্রগামী হতে পারে। তাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার ও সমাজের সমর্থন, আর শিক্ষার প্রতি অটল ভালোবাসা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়— ছেলেরা কি এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের হারিয়ে ফেলছে? এই মুহূর্তে সমাজের, অভিভাবকের এবং শিক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্ব হলো ছেলেদের পুনরায় অনুপ্রাণিত করা, যেন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

কারণ শিক্ষা মানে কেবল পরীক্ষায় পাস নয়, এটি একটি সমাজের ভবিষ্যৎ নির্মাণ। আর সেই ভবিষ্যতে যেন `মেয়েদের কাছে ছেলেদের হার’ কেবল একটি শিরোনাম হয়ে না থাকে, বরং একটি শিক্ষা হয়ে থাকে, সমতা ও অগ্রগতির।

সকালবেলা/এমএইচ

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভুমিকম্প আশঙ্কায় বন্ধ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হল

1

রাজনীতি ধরে রাখবেন সাকিব আল হাসান

2

বিজেপি-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

3

সিসিইউতে খালেদা জিয়া

4

পাশের রুমে আশরাফুশের লাশ রেখে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় জরেজ-শাম

5

অভিনয়ে সরব জয়া আহসান, ব্যতিক্রমী ফিউশন লুকে মুগ্ধ নেটপাড়া

6

রাবির ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, দণ্ডিত ৫ শিক্ষার্থী

7

দাবি আদায়ে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

8

গণভোটে থাকবে যে ৪ প্রশ্ন

9

আরমানিটোলায় জবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

10

ভূ-তাত্ত্বিক সতর্কবার্তা: বাংলাদেশের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ভূমি

11

গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ ৮ দলের দেশব্যাপী বিক্ষোভ সোমব

12

এআই ও বৈদ্যুতিক গাড়ি এখন লাভজনক : শাওমি

13

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প, মাত্রা ৩ দশমিক ৬

14

আবারও আফগানিস্তানে হামলা চালাতে পারে পাকিস্তান

15

জেন-জি'র নেতৃত্বে মেক্সিকোতে বিশাল বিক্ষোভ

16

বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা দৌলা

17

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করলো বিডি ক্

18

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতলো 'সাইয়ারা'

19

জামায়াত-বিরোধী ছেলের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বাবা, সম্পর্ক ছিন্নের

20
সর্বশেষ সব খবর