বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে জড়ায়, তাদের কোনো ছাড় নেই।’ পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যমকে সতর্ক করে বলেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ‘একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।’
শনিবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, ‘কোনোকিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারও কারও অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সমাজবিরোধী কাজে যে জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। কিন্তু সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
তিনি আরও উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো, এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে, কিন্তু এখনো আতঙ্কমুক্ত নয়।’
তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। যারা নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে, তখন বাংলাদেশে এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।’
আলাপকালে বিএনপির যুগ্ম সচিব আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আমিনুল ইসলাম, রমেশ দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন