ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনীর বিক্ষিপ্ত হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের বহনকারী বেসামরিক গাড়িতে গোলাবর্ষণ করে একই পরিবারের ওই ১১ জন হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিন নারী রয়েছেন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রবিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরায়েল এ হামলা চালিয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আবু শাহবান পরিবারের গাড়িতে ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে।
তারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া নিজেদের বাড়িঘর দেখতে যাচ্ছিলেন। হামলায় ঘটনাস্থলেই সবাই প্রাণ হারান।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন,“তাদের সতর্ক করা যেত, কিন্তু ইসরায়েল তা না করে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এটি প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু ও নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।”
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর উত্তর গাজার বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিজেদের ঘরবাড়ির খোঁজে ফিরছেন। তবে টানা বোমাবর্ষণে গাজা নগরী প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেকে পরিচিত স্থান চিনতেও পারছেন না।
এর আগে গত সপ্তাহে গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মরদেহ উদ্ধারের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গাজায় দৈনিক গড়ে মাত্র ৫৬০ টন খাদ্যসামগ্রী পাঠানো সম্ভব হয়েছে—যা সেখানে মারাত্মক খাদ্যসংকটে থাকা লাখো মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
মন্তব্য করুন