জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত পরিবার ও আহতদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই। চলতি সপ্তাহে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হবে। এরপর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব এস এম শাকিল আখতার বলেন, ‘ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়টি সম্প্রতি একনেকের সভায় পাস হয়েছে। নিহত পরিবার পাবে ৮ শতাধিক ও আহতরা পাবেন ১৫৬০টি ফ্ল্যাট। গণপূর্ত অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের প্রজেক্ট ডিরেক্টর নিজে উপস্থিত থেকে কাজটি করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আমরা জিও জারি করে দেবো। এরপর তারা কাজ শুরু করতে পারবে। নিহত পরিবার পাবে ১৩৫৫ ও আহতরা পাবেন ১২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। একটি আবাসিক এলাকার মতো করে তৈরি করা হবে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সেখানে পানির ফোয়ারাসহ বিভিন্ন ফুল ও গাছের চারা লাগানো হবে।’
এস এম শাকিল আখতার জানান, ‘প্রথমে বাজেট বেশি ভেবে রিভিউয়ের জন্য ফেরত দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা দেখেছেন, শুধু ভবন তৈরি করা নয়, সঙ্গে আনুষাঙ্গিক আরও অনেক কাজ আছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আবাসন যেন সুন্দর হয়; সেই চেষ্টাই আমরা করছি।’
পরিকল্পনা বিভগের সচিব আরও বলেন, ‘কাজের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য একটি কমিটি করা হচ্ছে। তারা নিয়মিত আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান যাচাই করে তিন মাস পর পর রিপোর্ট দেবেন।’
গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন মাহমুদুর রহমান সৈকত।
মোহাম্মদপুরে নূরজাহান রোডের সেই ভাড়া বাসায় এখনও সৈকতের পরিবার থাকছে। সৈকতের বাবা মাহবুবের রহমান জানান, জুলাইয়ে যারা সন্তান হারিয়েছে তারাই কেবল এই ব্যথা বোঝেন। তবে সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আইএ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন