অনলাইন ডেস্ক: আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া (এনইআইআর)। টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা জোরদার ও অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধে সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এই সময়সীমার আগে কেনা কোনো ফোন বন্ধ হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে অনিবন্ধিত, চোরাই কিংবা অনুমোদনহীনভাবে আমদানি করা কোনো মোবাইল ফোন আর সচল থাকবে না।
বাজারে ক্রেতাদের ভিড়: এনইআইআর চালুর দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় মোবাইল মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনিবন্ধিত ডিভাইসের দাম ভবিষ্যতে বেড়ে যাওয়ার বা ফোন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই ১৬ ডিসেম্বরের আগেই কম দামে পছন্দের ফোনটি কিনে নিতে চাইছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দেশে প্রচলিত উচ্চ শুল্ক ও ভ্যাটের কারণে অফিশিয়াল ফোনগুলো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ও শুল্ক বিতর্ক: অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোন আমদানিতে বিদ্যমান ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত ‘অস্বাভাবিক’ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ, এনইআইআর ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করা।
প্রবাসীদের সুবিধা ও নতুন সিদ্ধান্ত: সম্প্রতি গত ১ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির এক যৌথ সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব প্রবাসীর বিএমইটি (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তারা শুল্ক ছাড়াই মোট তিনটি মোবাইল ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। একই সঙ্গে দেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি বা ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন