২০১২ সালে শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করা অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি ২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ সিনেমার মধ্য দিয়ে প্রথমবার চলচ্চিত্রে নাম লেখান। এরপর আরও একটি ছবিতে কাজ করলেও বড় পর্দায় নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তাই ছোট পর্দায় মনোনিবেশ করে তিনি নিজেকে একজন পরীক্ষিত অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই পরীক্ষিত অভিনেত্রী এবার দীর্ঘ আট বছরের বিরতি কাটিয়ে ফিরছেন বড় পর্দায়।
অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি রায়হান খানের নতুন চলচ্চিত্র ‘ট্রাইব্যুনাল’-এ অভিনয় করছেন। সম্প্রতি ছবিটি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে কথা বলেন।
তানিয়া জানান, “গত কয়েক বছরে সিনেমায় অভিনয় করব কি না—এ নিয়ে বহু প্রশ্নের মুখে পড়েছি। এখন সেই প্রশ্নের উত্তর প্রায় সবার জানা। আমি ‘ট্রাইব্যুনাল’ দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছি।”
দীর্ঘ এই বিরতির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ভিট–চ্যানেলআই টপ মডেল প্রতিযোগিতার পর তাদের সঙ্গে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। পরে বুঝলাম, সিনেমা অনেক বড় ক্যানভাস। এখানে কাজ করতে হলে যোগ্যতা নিয়ে টিকে থাকতে হয়। তাই নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য ছোট পর্দায় কাজ করেছি। এই আট–দশ বছরে নিজেকে বড় পর্দার জন্য তৈরি করেছি। এখন থেকে নিয়মিত সিনেমায় কাজ করতে চাই।”
একসময় নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে মাসে ১০ থেকে ১৫টি নাটকে নিয়মিত কাজ করতেন তানিয়া বৃষ্টি। বর্তমানে সিনেমার ব্যস্ততার কারণে ছোট পর্দায় সময় কিছুটা কম দিতে পারছেন তিনি। তবে নাটক ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার।
অভিনেত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “নাটকের মাধ্যমেই দর্শক আমাকে চেনেন। এই প্ল্যাটফর্ম ছাড়া তো আমাকে কেউ চিনত না। তাই সিনেমা করলে নাটক ছাড়তে হবে—এমন কোনো কথা নেই। নাটককে কখনোই ছেড়ে দিতে পারব না। তবে সিনেমার কারণে নাটকে কাজ কমতে পারে। তাই বেছে বেছে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।”
নাটকের কাজ কমিয়ে সিনেমায় মনোযোগ বাড়িয়েছেন তানিয়া। ‘ট্রাইব্যুনাল’-এর শুটিংয়ের আগে তিনি টানা এক মাস অভিনেতা তারিক আনাম খানের কাছে রিহার্সেল করেছেন। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে ন্যায়বিচার, নৈতিকতা ও প্রতিটি রায়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাজনীতির প্রশ্ন উঠে এসেছে। ফলে চরিত্রের জন্য তাকে নিতে হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।
নিজের বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে তিনি জানান, “নির্মাতা আমাকে যে চরিত্রটি দিয়েছেন, সেটি ফিল্ডে গিয়ে সরাসরি দেখেছি। চরিত্রের কষ্টটা বোঝার জন্য হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেছি। যতটুকু সম্ভব, চেষ্টা করেছি। ছবিটি মুক্তির পর দর্শক বুঝতে পারবেন।”
তিনি আরও জানান, চলতি মাসেই চলচ্চিত্রটির শুটিং শেষ হবে এবং এটি আগামী রোজার ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
মারুফ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন