লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাবাতিয়েহ জেলার কফারসির শহরে বিমান থেকে ‘নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়ে হামলাটি চালানো হয়।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে চলা ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে প্রতিবেশী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন বলে লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে লেবাননের মন্ত্রণালয়টি জানায়, নাবাতিয়েহ জেলার কফারসির শহরে ইসরায়েলের এ হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা লেবানন নিউজের বরাতে আল জাজিরা জানায়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে একটি গাড়িকে লক্ষ্যস্থল করে ‘নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়ে হামলাটি চালানো হয়।
শুক্রবার লেবাননের প্রেসিডেন্ট যোশেফ আউন অভিযোগ করে বলেন, আন্তঃসীমান্ত হামলা আরও দীর্ঘস্থায়ীভাবে বন্ধে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল হামলা বৃদ্ধি করে।
লেবাননের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর কফরাসির শহরে হামলাটি চালায় ইসরায়েল।
২০২৩ এর অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে ভূখণ্ডটির ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই চলার পর তীব্র ইসরায়েলি হামলায় দুর্বল হয়ে পড়া হিজবুল্লাহ ২০২৪ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
এই চুক্তিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলিদের সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও ওই অঞ্চলে অবস্থান নেওয়া সেনাদের পাঁচটি এলাকায় রেখে দেয় ইসরায়েল। আর তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিন আকাশ হামলা চালিয়ে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে থাকে।
ইসরায়েলের দাবি, তারা হিজবুল্লাহকে লক্ষ্যস্থল করে এসব হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব হামলায় বেসামরিক, জরুরি পরিষেবার কর্মী ও সাংবাদিকরাও নিহত হচ্ছেন বলে রয়টার্স লিখেছে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে অন্তত ১১১ জন বেসামরিককে হত্যা করেছে।