পঞ্চগড়ে সকাল থেকে আকাশে ঝলমলে রোদ থাকলেও শীতের প্রকোপ কমেনি। ভোরের দিকে বয়ে যাওয়া কনকনে ঠান্ডা বাতাস সকাল গড়াতে মিলিয়ে যায় রোদের উষ্ণতায়। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বরের দিকে শীত আরও তীব্র হতে পারে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এটি গতকালের তুলনায় সামান্য বেশি, তবুও শীতের তীব্রতা কমার কোনো লক্ষণ নেই। এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৯ শতাংশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার একই সময়ে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার ওঠানামা চলমান থাকায় পঞ্চগড়ে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরের সূর্য উঠলেও প্রকৃতি হালকা কুয়াশায় ঢাকা ছিল। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছিল ভোরের শুভ্রশিশির। বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছিল শিশির কণা। শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় শ্রমজীবী মানুষদের। অবশ্য বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে ঝলমলে রোদ মিলছে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার বড় পার্থক্য শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস বলছে, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন অনেক রোগী আসছেন। চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "শীত ধীরে ধীরে নামছে। ডিসেম্বরের দিকে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরুরও সম্ভাবনা রয়েছে।"
মারুফ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন