ভৈরব প্রতিনিধি: জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই ভৈরববাসীর সামনে ‘জেলা বাস্তবায়ন’-এর সেই পুরানো এবং বহুচর্চিত ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসেন রাজনীতিবিদরা। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপি নেতা মো. শরীফুল আলম। নির্বাচনের আগে আবারও ভৈরববাসীকে জেলা করার স্বপ্ন দেখালেন তিনি, যা স্থানীয় সচেতন মহল ‘রাজনৈতিক স্টান্ট’ বা ‘নির্বাচনী টোপ’ হিসেবেই দেখছেন।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শরীফুল আলম ভৈরবের প্রয়াত ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "অতীতে যারা প্রেসিডেন্ট বা এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলেন, তারা ক্ষমতার দাপটে থেকেও ভৈরবকে জেলা করতে পারেননি, শুধুই ভোট নিয়েছেন"।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বা সাবেক মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ না করে তাদের প্রতি ইঙ্গিত করে শরীফুল আলমের এই বিষোদগার শিষ্টাচারবহির্ভূত। বিশেষ করে তিনি যখন নিজেই স্বীকার করছেন যে, এমপি হলে তার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির মতো হবে না, তখন তিনি কীভাবে সেই একই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বক্তব্যে তিনি ভৈরবকে জেলা করার পাশাপাশি ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ গড়ে তোলা এবং সহজ শর্তে ঋণের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে স্থানীয় ভোটারদের মতে, ভৈরবকে জেলা করার বিষয়টি দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে আছে। অথচ শরীফুল আলম বাস্তবতা উপেক্ষা করে আবেগী বক্তৃতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।
সমাবেশে তিনি বলেন, "আল্লাহ যদি আমাকে ক্ষমতায় নেন, আমি আমার সরকারকে বুঝিয়ে জেলা করার চেষ্টা করব"। তার এই ‘যদি’ এবং ‘চেষ্টা করব’ শব্দগুলোর মধ্যেই হতাশার সুর দেখছেন অনেকে। তারা মনে করছেন, এটি ক্ষমতায় যাওয়ার পর ভুলে যাওয়ার মতো আরও একটি গালভরা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন