নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই কমিশনের সুপারিশ, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও গুরুত্বপূর্ণ জনমত জরিপের ফলাফলসহ মোট আট খণ্ডে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ইতোমধ্যে জুলাই জাতীয় সনদের সাংবিধানিক বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে কী আছে?
কমিশনের গঠন ও বাস্তবায়ন
প্রকাশিত আট খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের মূল সুপারিশগুলোর পাশাপাশি 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫'-এর পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়া, ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ার সময় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর দেওয়া মতামত, দল ও জোটগুলোর সঙ্গে আলোচনার সারসংক্ষেপ, কমিশনের অন্যান্য নথিপত্র এবং কমিশনের করা জনমত জরিপের বিস্তারিত ফলাফলও এতে স্থান পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, এই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি https://reform.gov.bd ঠিকানার ওয়েব পেজে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছাড়াও ড. ইউনূস সরকারের গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের সব প্রতিবেদনও একই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ৬টি কমিশনের কার্যক্রম শেষের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানগণের অপারগতার কারণে ওই দুই কমিশনের দুজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে গত ৩১ জুলাই চূড়ান্ত করা হয় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫। এরপর গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদটি স্বাক্ষরিত হয়। ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আলোকে সরকার ইতোমধ্যেই ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করেছে।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন