সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার।
এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ ছাড়া অন্য দণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিও জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। ভোটার তালিকায়ও দণ্ডিত ব্যক্তির নাম থাকবে না।
এ রায় ঘোষণা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নাশকতামূলক অপতৎপরতা প্রতিহত করতে নেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সমন্বিত নিরাপত্তা ছক।
গত ১৩ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
এই রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে এই মামলার বিচারকাজই প্রথম শেষ হতে যাচ্ছে।
গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের আইনি যুক্তিতর্ক শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখেন। সেদিন ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, ‘১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে সেটা (রায় ঘোষণা) হবে খুব তাড়াতাড়ি।
’ সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর (সোমবার) রায়ের দিন ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ের তারিখ ঘোষণার আগে মামলার একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হয়।’
মন্তব্য করুন