কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বন্দুকসহ তিন মানবপাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। একই অভিযান থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সাতকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বিএন) সিয়াম-উল-হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড স্টেশন টেকনাফ ও আউটপোস্ট বাহারছড়ার সদস্যরা মারিশবুনিয়ার পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে পাহাড়ে পাচারকারীদের গোপন আস্তানায় আটকে রাখা সাত জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে তিন মানবপাচারকারীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আস্তানা তল্লাশি করে একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সংঘবদ্ধ কয়েকটি পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে, উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং অল্প খরচে বিদেশ যাত্রার আশ্বাস দিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় পাচারের পরিকল্পনা করছিল। ভুক্তভোগীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আটক রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়েরও চেষ্টা চলছিল।
এদিকে, টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সালাহউদ্দিন তানভীর প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ডের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার হওয়া আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জানায়— মানবপাচার রোধে সীমান্ত ও উপকূলে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও জোরদার করা হবে।
মন্তব্য করুন