কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় ছয় জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। এ সময় জেলেদের ব্যবহৃত দুটি নৌকাও জব্দ করে নিয়ে যায় সংগঠনটির উপগোষ্ঠী আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসসিএফ)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরাকান আপডেট নিউজ–এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ৩ ডিসেম্বর (বুধবার) নাফ নদীর আরাকান আঞ্চলিক জলসীমায় "অবৈধ অনুপ্রবেশ" ও "অননুমোদিতভাবে মাছ ধরার" অভিযোগে পৃথক অভিযানে জেলেদের আটক করে এএসসিএফ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে "কঠোর ব্যবস্থা" গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৩ ডিসেম্বর ঝিমংখালি সংলগ্ন নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা দুটি নৌকাসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুজন স্থানীয়—হোয়াইক্যং উত্তর পাড়ার আবুল হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম এবং রইক্ষ্যং গ্রামের অলি হোসনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন। বাকি চারজন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাফিজ নাদিম বলেন, “জেলে আটকের বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ অভিযোগ জানায়নি। তবে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।”
টেকনাফ সীমান্তে এমন ঘটনা নতুন নয়। নাফ নদী সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশি জেলেদের আটক, অপহরণ বা নৌকা জব্দের অভিযোগ উঠে আসছে মিয়ানমারের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তবে সরকারিভাবে নিশ্চিত যোগাযোগ বা উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত আটক জেলেদের অবস্থান ও নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারগুলো গভীর উদ্বেগে রয়েছে।
মারুফ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন