টানা চতুর্থ মাসের মতো পতনের ধারায় রয়েছে দেশের রফতানি খাত। সবশেষ গত নভেম্বর মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত নভেম্বর মাসে কমেছে দেশের রফতানি আয়। ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, নভেম্বর মাসে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য এবং হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমলেও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বেড়েছে। নভেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলারে।
এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৭ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ১০ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। নভেম্বরে মাসে রফতানি হয়েছে ৯ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
এদিকে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
আইএ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন