নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হোক—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির খুনিরা যদি পার পেয়ে যায়, তবে এ দেশে আর কারো জীবনই নিরাপদ থাকবে না।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের অবস্থান: নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাব। তবে মূল কথা হলো—নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটে।’’
হাদি হত্যার বিচার ও ক্ষোভ: জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকার এখন পর্যন্ত যা করেছে, তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘‘অতি দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। হাদির খুনিরা কার্যত বাংলাদেশেরই দুশমন। কারণ, হাদিরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আপন সংস্কৃতির পক্ষে কথা বলত। তারা বলেছিল ‘জীবন দেব, তবুও চব্বিশ দেব না’। এটাই ছিল তাদের অপরাধ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘হাদি কাউকে অন্যায়ের হাত বাড়ায়নি। তার জনপ্রিয়তা এবং ইনসাফের কথাই হয়তো কারো কারো সহ্য হয়নি, তাই ষড়যন্ত্র করে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিপ্লবীদের খুন করে বিপ্লবের চেতনা দমানো যায় না।’’
হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট: উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে দেশ ও পরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশে আনার পর শনিবার (২০ ডিসেম্বর) লাখো মানুষের জানাজা শেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন