আজ (১৭ অক্টোবর) বিকেল চারটায় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠান শুরু হবে জাতীয় সংগীত, শহীদদের প্রতি শোক জ্ঞাপনের মাধ্যমে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা সনদের অঙ্গীকারনামা অংশে সই করবেন। সবার শেষে সনদে সই করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে। অনুষ্ঠানের শুরুর আগে জুলাই সনদ তৈরির প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার, বিশিষ্ট নাগরিক, সামরিক-বেসামরিক আমলা, সাংবাদিক, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রায় তিন হাজার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা গত রাতে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
মূল অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় (সিঁড়ির মাঝামাঝি স্থানে হবে মঞ্চ)। আমন্ত্রিত অতিথিরা থাকবেন দক্ষিণ প্লাজার সামনে উন্মুক্ত জায়গায়। আর সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সব টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রাতে এক বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
গতকাল সন্ধ্যায় ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় আয়োজন জুলাই সনদ নিজে। কারণ, এই সনদ বাস্তবায়ন করা গেলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আসবে।
তিনি জানান, সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সনদ তৈরির প্রেক্ষাপট এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা বিষয়ে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হবে। আগামী দুই মাসে এটা নিয়ে আরও কাজ করা হবে।