ইসমাঈল আযহার
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার, চলছে চিকিৎসা

শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার, চলছে চিকিৎসা

রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খোঁড়া গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশুটিকে অবশেষে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

এর আগে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সাজিদ নামের দুই বছর বয়সী শিশুটি গভীর গর্তে পড়ে যায়। শিশুটি তার মায়ের হাত ধরে কেটে নেওয়া ধানের ক্ষেতে হাঁটছিল। হঠাৎ গর্তে পড়ে যায়। উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম সাজিদের বাবা। রাকিব ঢাকায় একটি জুট মিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন।


শিশুটি গর্তে পড়ার খবর পয়ে বিকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিন ইউনিট। পাশাপাশি তাকে বাঁচাতে ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। গভীর সুড়ঙ্গ করে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, শিশুটি গর্তে পড়ে যাওয়ার খবর তারা পেয়েছেন বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে। এসে দেখেন, স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করতে গিয়ে গর্তের ভেতরে কিছু মাটি ফেলেছেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিশুটির সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল। পরে মানুষের হট্টগোলের কারণে আর সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালিয়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়।

শিশুটির মা রুনা খাতুন জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে মেজো ছেলে সাজিদের হাত ধরে তিনি বাড়ির পাশে মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার ছোট একটি সন্তান কোলে ছিল। হাঁটার সময় হঠাৎ সাজিদ মা বলে ডেকে ওঠে। তিনি পেছনে তাকিয়ে দেখেন, ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে ‘মা, মা’ বলে ডাকছে। গর্তটির ওপরে খড় বিছানো ছিল। ওখানে যে গর্ত ছিল, সেটা তিনিও বুঝতে পারেননি, ছেলেও। ওই জায়গায় পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলে গর্তের ভেতর পড়ে গেছে। লোকজনকে ডাকতে ডাকতেই ছেলে গর্তের নিচে চলে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এই এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েলহাট গ্রামের বাসিন্দা জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছরখানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধের মুখ করে খনন করেছিলেন। কিন্তু পানি না পেয়ে নলকূপ বসাননি। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।

আযহার/সকালবেলা

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

1

যুদ্ধবিরতির এক মাসে ২৬০ ফিলিস্তিনকে হত্যা করল ইসরায়েল

2

আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

3

মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে পালাল সিংহ

4

অনাহারে আফ্রিকায় ৬০ হাজার পেঙ্গুইনের মৃত্যু

5

২ হাজার টাকা চুরির জন্য মা-মেয়ে হত্যা

6

মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব, মেহেরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপা

7

সমুদ্রে ভূমিকম্প, বাংলাদেশে সুনামির ঝুঁকি কতটা?

8

ডেঙ্গু কেড়ে নিল নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর জীবন

9

‘ছাত্র-জনতার আত্মদানে প্রসারিত হয়েছে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ’

10

ময়লার গাড়ির ধাক্কায় ২ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

11

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের হামলায় নিহত ৪০

12

আগামী ৫ বছরে মামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমবে: আইন উপদেষ্টা

13

বরগুনায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর লুট, এখনও পড়ে আছে ফাঁকা

14

নির্বাচনি মাঠের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়, সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে অস্ত

15

এনসিপিসহ তিন দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির

16

ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

17

৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে অর্থ মন্

18

নেত্রকোনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান পুড়ে ছাই

19

‘আমার জীবনডা শেষ করলা’ বলে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন রিপন

20
সর্বশেষ সব খবর