বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মো. শহীদ হোসেনের নেতৃত্বে এক জামায়াত নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাশিপুর হাইস্কুলের সামনের বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত মো. জাহের হোসেনকে (৪০) উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। আহত জাহের হোসেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আলী আহমেদ খানের ছেলে এবং স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট সভাপতি।
ঘটনার সূত্রপাত: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহের হোসেন জানান, কাশিপুর হাইস্কুল বাজারের ‘মেহেন্দিগঞ্জ ড্রাগস হাউজ’ থেকে সাবেক কাউন্সিলর শহীদ হোসেনের ইজিবাইক চালক হারুন-অর রশিদ দীর্ঘদিন আগে বাকিতে ওষুধ নিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘাদিন পার হলেও তিনি সেই টাকা পরিশোধ করছিলেন না।
এ নিয়ে ওষুধের দোকানের মালিক পলাশ ও হারুনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দোকানি পলাশ হারুনকে একটি থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সকালে বিএনপি নেতা শহীদ হোসেন তার দলবল নিয়ে বাজার কমিটির ক্যাশিয়ার আলমের সঙ্গে কথা বলতে যান।
হামলার বিবরণ: এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জামায়াত নেতা জাহের হোসেন মন্তব্য করেন, "হারুন বাকি খেয়ে টাকা দেয় না। এখানে উভয়েরই দোষ আছে। তাই ছোট্ট বিষয় নিয়ে মারামারি না করাই ভালো।" জাহের হোসেনের অভিযোগ, এই কথা বলার জেরে তাকে ‘জামায়াতের লোক’ আখ্যা দিয়ে লাঠি দিয়ে দুই দফায় বেধড়ক পেটানো হয়।
তিনি দাবি করেন, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা শহীদ হোসেন। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিলেন আব্দুল জলিল, মহিউদ্দিন, রানাসহ আরও ৮-১০ জন।
অভিযুক্তের বক্তব্য: তবে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন সাবেক কাউন্সিলর মো. শহীদ হোসেন। তিনি বলেন, "কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। অহেতুকভাবে এ হামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।"
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন