ইসমাঈল আযহার
প্রকাশ : শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

ফেসবুকভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে আ.লীগ: প্রেস সচিব

ফেসবুকভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে আ.লীগ: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ফেসবুকভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে; যার মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম। 

শনিবার সকালে শফিকুল আলম নিজের ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন।

পোস্টে তিনি লেখেন, তিনটি সাম্প্রতিক ঘটনা আমার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে যে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। বরং আমাদের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

শফিকুল আলম লেখেন, বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দলটি তাদের সংসদীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে—এমন একটি ব্যাপক আশঙ্কা ছিল। অনেকের ধারণা ছিল, শত শত বিদ্রোহী প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না। বিক্ষোভে নামবেন। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়াতে পারেন। কিন্তু এক-দুটি সামান্য ঘটনা ছাড়া ঘোষণাটি আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে। মনোনয়নের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ইঙ্গিত দেয়—প্রচারণা ও নির্বাচনের সময় দলের ভেতরে সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।

তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা স্পষ্টভাবে দেখছি এবং তা বেশ ছোট। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে তাদের একটি বিস্তৃত তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা যেকোনো নির্বাচন ব্যাহত করার মতো শক্তিশালী। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে—দলটির বাস্তব সংগঠিত শক্তি আসলে কতটা সীমিত। এখন তারা ক্রমেই ভাড়াটে টোকাই-ধরনের ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা ফাঁকা বাসে আগুন দিতে পারে, ৩০ সেকেন্ডের ‘ঝটিকা মিছিল’ করতে পারে, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই শাটডাউনের মতো প্রচারণা চালাতে পারে।

‘প্রকৃত অর্থে, যার মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম। আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণও তা-ই নির্দেশ করে, দলের তৃণমূল হয় ভেঙে গেছে, নয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নিমজ্জিত হয়েছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে,আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো অস্থিরতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলে মনে করি।’

প্রেস সচিব লেখেন, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এখন আরও সংগঠিত। সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা দেখেই বোঝা যায়—পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত। সবচেয়ে দক্ষ ও সক্ষম কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা জাতির প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে এফসিএ মাহমুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্

1

হাসিনাসহ সেনা কর্মকর্তাদের পরবর্তী শুনানি ৯ ডিসেম্বর

2

আলট্রাসনোগ্রামে মায়ের গর্ভে যমজ কন্যাশিশুর মারামারি!

3

সরকারের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন

4

গাজার এতিম শিশুদের মুখে ইসরাইলি গণহত্যার বর্ণনা

5

টানা তৃতীয় মৌসুমেও চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে রুতু

6

আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে বাধা

7

যে আসনে লড়বেন বাবর

8

পেছালো বেগম জিয়ার লন্ডন যাত্রা

9

পিঠা খাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন পরীমণি

10

পাশের রুমে আশরাফুশের লাশ রেখে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় জরেজ-শাম

11

বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ: আলাল

12

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

13

পাবনা-১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস অবৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের

14

৩ কোটির ঋণের বোঝা থেকে ১১ কোটির মালিক

15

মিজানুর রহমান আজহারীর এ বছরের সকল বিভাগীয় তাফসির মাহফিল স্থ

16

শাহরুখের অনুপ্রেরণাই আমার জীবনে বড় পরিবর্তন আসে: জন সিনা

17

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি: আইন উপদেষ্টা

18

জুলাই হত্যাযজ্ঞ: কাদের-আরাফাতসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পর

19

নিজেকে প্রায় অর্ধনগ্ন মনে হচ্ছিল : স্বরা ভাস্কর

20
সর্বশেষ সব খবর