পবিত্র কোরআন ‘অবমাননার’ অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ শহরের গনকপাড়া এলাকায় এক যুবকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন সাধারণ জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বাবাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে একদল মুসল্লি ওই বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর আগে সকালে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সকালে নিজ বাড়ির পাশে ওই যুবক পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। রাত ১১টার দিকে ক্ষুব্ধ একদল সাধারণ জনতা যুবকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই যুবককে আটক করে। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য যুবকের বাবাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাদের থানায় নেওয়ার সময়ে অনেকে বাধা দেন এবং শাস্তির দাবি জানান।
একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শান্ত হয় আমি জনতা।
তবে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, অভিযুক্ত যুবক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তার পরিবার মুসলিম। মাদকাসক্ত হওয়ায় এমন কাজ করেছেন। তবে এত রাতে তার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, পবিত্র কোরআন ‘অবমাননার’ অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। মুসল্লিদের রোষানল থেকে বাঁচাতে যুবকের বাবাকে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
আইএ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন