অর্থ আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও, এই খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন।
অভিনেত্রী তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন: “অনলাইনে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু ভিত্তিহীন ‘মামলা’ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আমার সকল সাংবাদিক সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে কোনো প্রকার যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।”
তবে রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মেহজাবীনের নামে মামলা বহাল আছে। মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে মেহজাবীন চৌধুরী বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার কথা বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে মোট সাতাশ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা নেওয়ার পর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে তারা 'আজকে দেবো কালকে দেবো' বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করেন।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে বাদীকে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা বলেন, “এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না” তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে “জানে মেরে ফেলব”। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
মারুফ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন