ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি।
গতকাল (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধানের শীষের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেও কিশোরগঞ্জ-১ (সদর–হোসেনপুর) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী–বাজিতপুর) আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন সবার প্রিয় ও পরিচিত এক মুখ—ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
ছাত্ররাজনীতি থেকেই উঠে আসা সোহেল আওয়ামী আমলে বারবার নির্যাতন ও কারাবরণের শিকার হয়েছেন। গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সাহসী সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও ছাত্রস্বার্থে আপসহীন ভূমিকার জন্য তখনই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ভিপি সোহেল।
সহপাঠী ও সহকর্মীরা জানান, সোহেল কেবল নেতা ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন ছাত্রদের পরম এক অভিভাবক। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকার কারণে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন, কিন্তু কখনো নতি স্বীকার করেননি।
স্থানীয়রা বলেন, তাঁর ত্যাগ ও নির্যাতনের ইতিহাস আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভিপি সোহেল আজ কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সাহস, নিষ্ঠা ও আপসহীনতার এক মহান প্রতীক।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ভিপি সোহেল বলেন, “গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার সঙ্গে আপোষ করিনি—এটাই মানুষের প্রত্যাশা ছিল। আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, তাই আপোষ নয়, আদর্শের রাজনীতি করি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মতো আমিও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি—জনগণের জন্য, দলের জন্য।”
মন্তব্য করুন