ক্রীড়াঙ্গন ও মিডিয়ায় পরিচিত মুখ জহির ভূঁইয়া আর নেই। রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নির্বাচনে তার সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও, বিকেলের পর হঠাৎ নিস্তব্ধতা নেমে আসে। সড়ক দুর্ঘটনায় আকস্মিক প্রাণ হারিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক।
জানা যায়, রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হয়েছেন সাংবাদিক জহির ভূঁইয়া (৫২)। তিনি দৈনিক ভোরের পাতার স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রোববার বিকেল পৌনে ৫টায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জহির উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে রাকিব ভূঁইয়া তামিম জানান, "আমার বাবা দৈনিক ভোরের পাতার স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগ্ধা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমার বাবা আর বেঁচে নেই।"
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে আহত অবস্থায় এক সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জহির ভূঁইয়া প্রায় দুই দশক ধরে ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দৈনিক মানবজমিনের মতো পত্রিকায় তিনি একসময় কাজ করেছেন এবং মূলত ক্রিকেট রিপোর্টিংয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন। ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাও তিনি কাভার করেছেন। কুমিল্লার মুরাদনগর থানার চাপিতলা গ্রামের শামসুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জহির ভূঁইয়া এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা ছিলেন এবং পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁওয়ের মধ্য বাসাবো এলাকায় থাকতেন।
জহির ভূঁইয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গন ও গণমাধ্যম জগতে শোকের আবহ বিরাজ করছে।
মারুফ/সকালবেলা
মন্তব্য করুন