
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি ‘বৃহৎ জোট’ গঠনের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। যুগপৎ আন্দোলনে সঙ্গে থাকা দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় দলটি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "সারাদেশে আসনভিত্তিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, যা বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। আমরা দলের ভেতরে ও জাতির মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, "যাদের সাথে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, তাদের সবাইকে নিয়ে একটি বৃহৎ জোট গঠনের জন্য আমরা চিন্তা করছি, যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারি।"
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রার্থীদের প্রতি দলের বার্তা স্পষ্ট করে সালাহউদ্দিন বলেন, "আমাদের বার্তা একটাই— কোনো বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই ঐক্য বজায় রাখতে কেউ যেন বিভেদের পথে না হাঁটে, সেই বার্তা আমরা প্রার্থীদের দিচ্ছি।"
যুবদলকে নিয়ে তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন
এর আগে, যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এ সময় তিনি বলেন, "যুবক ও তরুণদের ভাবনাকে ধারণ করে আমরা একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখি, যা আমরা আমাদের ৩১ দফায় উল্লেখ করেছি। তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে आत्मস্থ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।"
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি একটি কর্মসংস্থাননির্ভর, প্রযুক্তিনির্ভর এবং মেধানির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, যে স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই-গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা দেখেছিলেন।
এদিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যেখানে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।