
বিনোদন জগতের এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ রুমানা রশীদ ঈশিতা। ছোটবেলা থেকে অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করলেও দীর্ঘ দিন ধরে তিনি পর্দার আড়ালে রয়েছেন। নাটক ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত জীবনে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলার সহধর্মিণী। তবে এত প্রতিপত্তি আর গ্ল্যামারের মাঝে থেকেও ঈশিতা বরাবরই নিজেকে সাধারণ রাখতে পছন্দ করেন।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে নিজের জীবনদর্শন নিয়ে কথা বলেন রুমানা রশীদ ঈশিতা। তিনি জানান, বিলাসিতা বা আভিজাত্য তাকে কখনো টানেনি। মাত্র আট বছর বয়সে তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরও তিনি কখনো সেই সাফল্যকে মাথায় চড়তে দেননি।
নিজের ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, মানুষের মেধা কিংবা বড় বড় অর্জন যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “ধরুন, একজন অভিজ্ঞ ব্রেইন সার্জন যার ৪০ বছরের সাফল্য রয়েছে, তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে তিন বছরের শিশুর মতো হয়ে যেতে পারেন।”
মেধার এমন অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মেধারই যদি এমন অনিশ্চয়তা থাকে, তবে ধনসম্পদ নিয়ে আসলে আমার মনে হয় এত স্বস্তিবোধ করার বা উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।” ঈশিতা মনে করেন, সবকিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয় কিংবা অনিশ্চয়তাই জীবনের ধ্রুব সত্য।
অভিনেত্রী আরও বলেন, “কবে কী হবে তা একমাত্র ওপরওয়ালাই জানেন। তাই প্রাচুর্য নিয়ে খুব বেশি স্বস্তিবোধ করার কোনো মানে হয় না। আমার অবশ্যই ভুল আছে। কারণ আমি অতিসাধারণ একজন মানুষ।”
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় শিশুশিল্পী হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার মাধ্যমে ঈশিতার পথচলা শুরু। ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ‘দুজনে’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং চ্যানেল আইয়ের মার্কেটিং বিভাগে কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে আরিফ দৌলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান যাভির দৌলা।
মারুফ/সকালবেলা