
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে না পারলে তা পরাধীনতার শামিল হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি জনগণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা যাবে না।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে অপমানিত করার চেষ্টা চলছে এবং গণতন্ত্রে সহজে উত্তরণ যেন না ঘটে, সে জন্য বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র চলছে।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান ক্ষমতাসীন দল এবং জামায়াতে ইসলামীর অতীত রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ছাত্রদের হত্যাকাণ্ড, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন, আমাদের বাড়িঘরে আগুনের ঘটনার সময় আপনারা কোথায় ছিলেন?”
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এরশাদের সঙ্গে কারা নির্বাচনে গিয়েছিল, তা দেশের মানুষ জানে। ওই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তই বিএনপিকে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এনেছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছিল।
তিনি লোভের রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে সরকারের নিপীড়ন সত্ত্বেও বিএনপি লড়াইয়ের ময়দান ত্যাগ করেনি। তিনি বলেন, “এখন কত ধরনের লোভ, এই দুনিয়ায় কিছু না পেলে অন্য দুনিয়ায় পাওয়া যাবে... দেশের মানুষ খুব ভালো বোঝে। তারাই বিচার করবে।” নজরুল ইসলাম খান বিজয় দিবসের চেতনাকে ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মঈন খান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, যার বিপরীতে বিএনপি প্রতিরোধ অটুট রেখেছিল। তরুণদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেখানে তরুণরা দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে।”
মঈন খান আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা এগিয়ে চলেছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বিভাজনের রাজনীতি করেননি। আমরা চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুক।”
মারুফ/সকালবেলা