আরিফুর সাদনানঃ ৫ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী পরিষদ (বাবেশিপ্রতৃকপ)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান আদনান হাবিবের নির্দেশনা মোতাবেক ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিলেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে উৎসব মূখর পরিবেশে সারাদেশের সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এ দাবি আদায়ের স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এসময় স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রমে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন সারা বাংলাদেশের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা।
দেশের প্রায় ৪১০০০ তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত এ পরিষদের ৫ দফা দাবির মধ্যে মূল দাবিগুলো হলো ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান, পদবী পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার করা এবং শিক্ষার্থীর অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা। অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে ২০১২ সনের চাকুরী বিধিমালা বাস্তবায়ন করে গভর্ণিং বডিতে কর্মচারী প্রতিনিধি সদস্য অর্ন্তভূক্ত করা, শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা অনুযায়ী উচ্চতর পদে পদোন্নতি প্রদান, উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং সকল এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের প্রায় ৫০টিরও বেশি জেলায় সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও বাকি জেলা গুলোতে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নেতৃবৃন্দরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্মচারীদের পক্ষে আন্দোলন করেছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই স্মারক লিপির মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ৪১,০০০ অসহায় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর দূরাবস্থার বিষয়ে অবগত হবেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার অর্থিক বৈষম্য ও মান মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমাদের দাবী গুলো মেনে নেবেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহামারী করোনার (কোভিড-১৯) মধ্যে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন অফিস করেছি। আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি সবিনয়ে বিনীত অনুরোধ করছি।’