গতকাল পুলিশের একজন পরিদর্শকের (সড়ক ও পরিবহন) ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট এর ক্ষুদেবার্তা (মেসেজ)পরিসেবা একাউন্ট চুরি হয়েছিল। হ্যাকার ঐ কর্মকর্তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে পরিচিত অনেককেই ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে টাকা ধার চেয়েছিল। টাকা ধার চাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঐ কর্মকর্তার এক নিকটআত্নিয়, ফোন করে নিজের মোবাইল এর বিকাশে টাকা না নিয়ে অন্য নং নিতে চাওয়া বিকাশ নং টা এজেন্ট নাকি ব্যক্তিগত জানতে চাওয়ায় বিষয়টা কর্মকর্তার নজরে আসে।
এবং তার পরপরই জুনিয়র কলিগ (সার্জেন্ট অপু) জানতে চায় তার মোবাইল টি হারিয়েছে কি না!
এই দুজনের ফোন কল পেয়েই পুলিশ কর্মকর্তা এ কে এম আসাদুজ্জামান (পুলিশ পরিদর্শক) নিশ্চিত হন যে তার ফেসবুক তার মোবাইলে চলমান থাকলেও ক্ষুদেবার্তা পরিসেবা (মেসেঞ্জার) তার নিজের নিয়ন্ত্রনে নেই।
এ সম্পর্কে জনাব এ কে এম আসাদুজ্জামান (পুলিশ পরিদর্শক) এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেনঃ আমি খুবই অবাক হয়েছি শুনে,আমি আমার নিকট আত্নিয়ের কাছে টাকা ধার চেয়েছি তবুও এতো সামান্য পরিমাণ- মাত্র ৬০০০/=(ছয় হাজার টাকা)। তাছারা তার সাথে আমার সম্পর্ক টাকা ধার চাওয়ার মত নয়। উনি আরো বলেন, আমার কপাল ভালো ঘটনাটা চাচার (নিকট আত্নিয়ের বাবা) সাথে ঘটেনি। ঘটলে চাচা কোন প্রশ্ন করতেন না। টাকা পাঠিয়ে দুদিন পরে খোঁজ নিতেন আমি ভালো আছি কিনা?
এছাড়া আরো যেসব নিকটবর্তী লোকজন ফোন দিয়েছেন টাকা আমার নং নয় কেন? এটা কি এজেন্ট নং- তাদের ফোন পেয়ে আমি লজ্জিত হয়েছি। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করেছেন আমরা কি কোভিড ১৯ সহযোগিতার জন্যে নতুন কোন চিন্তা করছি কিনা? এত কম কেন টাকার পরিমান? তাতে উপলব্ধিতে আসছে নিশ্চয় তার কাছেও কোন ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে টাকা চেয়েছিল।