আমাদের ধর্মব্যবসায়ীরা যুগে যুগে কালে কালে এদেশের সরল সোজা মানুষকে ঠকিয়েছে, তারা সঠিক ইসলামের দাওয়াত দেয়নি। যদি দিত তাহলে এদেশে লক্ষাধিক পীরবাবা থাকতোনা, পীরকেন্দ্রিক,মাজারকেন্দ্রিক কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চলতোনা৷ তারা যুগ যুগ ধরে সুর তাল লয় মিলিয়ে কিচ্ছা কাহিনী বলে ইসলাম প্রচারের চেষ্টা করেছে, অথচ ইসলামে মিথ্যা গুজব বানোয়াটের কোন স্থান নাই। কোরআন হাদিসে নবী-রাসুল,সাহাবায়ে কেরামগণের এমন বহু ঘটনা আছে যা দ্বারা দাওয়াত দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এরা নিজেদের স্বার্থে তা করেনি,তারা বলে গেছে ‘টুনটুনি ও সাপ’এর গল্প, ‘ব্যাঙ ও গরু’র গল্প৷তারা তাদের টাইটেল ব্যবহার করে দমিয়ে রেখেছে যারা ইসলামের সঠিক দাওয়াত দিতে চেয়েছে তাদেরকে।
তাদের কপালে ভাজ পড়লো যখন ড.জাকির নায়েক, ওস্তাদ নোমান আলী খানের মতো স্কলার আসলেন। তাদের সেই ভাজ দ্বিগুণ হলো যখন ইন্টারনেটের যুগ আসলো, কারণ এতে তাদের ভন্ডামি মুহুর্তেই চলে যাচ্ছে কোটি মানুষের সামনে।
সেই ভাজ তিনগুণ হলো যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যারা মাদ্রাসায়ও পড়েনি কখনো ,তারা ইসলাম নিয়ে রিসার্চ শুরু করলো। কারণ তারা এটা ভালোভাবেই জানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ধর্মতত্ত্ব নিয়ে তখনই পড়ে যখন তার আসলেই আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা থাকে ,আর ঐ ছাত্ররা কোনদিনই তাদের মতো কিচ্ছা কাহিনী বলে টাকা কামানোর কাজ করবেনা ,তারা করলে প্রকৃত ইসলামই প্রচার করবে।
গত ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮,১৯ সালে একুশে বইমেলায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের(আরিফ আজাদ) লেখা বই বেস্ট সেল হচ্ছে, মানুষ এখন প্রকৃত ইসলামকে চিনছে, ভন্ডদের ধরে ফেলছে এজন্য তাদের দমানোর শেষ অস্ত্র হিসেবে বলছে যে এরা মাদ্রাসার ছাত্র নয়,আমরা ইয়া বড় মাদ্রাসার ছাত্র ,মস্ত বড় ওমুক তমুকের মুরিদ,ওমুক দলের নেতা।
যদি কাঠমোল্লারা এতই পারতো কিচ্ছা বলে ধর্ম প্রচার করতে তাহলে এতদিনে কেন পারলোনা “প্যারাডক্সিকাল সাজিদ,আরজ আলী সমীপে, বেলা ফুরাবার আগে” এর মতো সুপারহিট বই লিখে তরুণদের দাওয়াত দিতে?