প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী এখন পর্যন্ত (২ মে) ৮,৭৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭৭ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭৫ জন। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা মহানগর।
ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩০৯ জন। ঢাকার পরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৭।
রূপগঞ্জ | ১ |
রায়েরবাজার | ৫ |
সবুজবাগ | ৭ |
সদরঘাট | ৩ |
শাজাহানপুর | ১৫ |
সায়েদাবাদ | ৮ |
সেগুনবাগিচা | ৪ |
সায়েন্সল্যাব | ১ |
শাহআলীবাগ | ২ |
শাহবাগ | ৫১ |
শাখারিবাজার | ২৮ |
শান্তিবাগ | ১০ |
শ্যামপুর | ১ |
শান্তিনগর | ১৫ |
শ্যামলী | ২৯ |
শেওড়াপাড়া | ৮ |
শেখেরটেক | ১ |
সোয়ারিঘাট | ৩ |
সিপাহীবাগ | ১ |
সিদ্ধেশ্বরী | ৪ |
শনিরআখড়া | ১৬ |
স্বামীবাগ | ৩৬ |
শের-ই-বাংলা নগর | ৬ |
সূত্রাপুর | ১৯ |
তাঁতিবাজার | ৭ |
টিকাটুলি | ১৭ |
তেজকুনিপাড়া | ৩ |
তেজগাঁও | ৫৫ |
তুরাগ | ১ |
তেজতুড়িবাজার | ৪ |
টঙ্গি | ১১ |
টোলারবাগ | ১৯ |
উর্দু রোড | ১ |
উত্তরা | ৬৩ |
ভাটারা | ৫ |
ওয়ারি | ৪২ |
সূত্র : আইইডিসিআর
২ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হাজার ১৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৭টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৬টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৭৯০ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এদের তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। পাঁচজনই ঢাকার বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭৭ জন।
বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৬৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৬৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ২২ জন।
চার মাস আগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার। তবে ১০ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। যদিও এরই মধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কিছু পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।