মুহসিন মোল্লা: জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভাগীয় পর্যায়ে বিশাল শোডাউন বা শক্তি প্রদর্শন শেষ করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮টি দলের জোট। শনিবার সিলেটে সমাবেশের মধ্য দিয়ে ঢাকার বাইরের সাতটি বিভাগের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাঠের রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দেওয়ার পর এবার জোটের দৃষ্টি আগামী নির্বাচনের আসন সমঝোতার দিকে। এ লক্ষ্যে আজ সোমবার লিয়াজোঁ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
দলগুলোর নেতাদের মতে, বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে ৮ দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় হয়েছে এবং ৫ দফা দাবি তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘‘ঢাকার পর এসব সমাবেশে আট দলের অটুট ঐক্য দৃশ্যমান হয়েছে। এটি ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি মানুষের বিজয়।’’
আজকের বৈঠকের এজেন্ডা: সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভাগীয় শোডাউন শেষ হওয়ার পর এবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আসন সমঝোতাসহ নতুন কর্মপন্থা নিয়ে বসবেন নেতারা। আজ সোমবার বিকেলে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ জানান, বৈঠকে বিভাগীয় সমাবেশ পর্যালোচনা, আগামী দিনের করণীয় এবং নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে।
আসন ভাগাভাগি ও নতুন দলের যোগদান: সূত্রমতে, জোটের শরিক দলগুলো নিজেদের মতো করে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে। আজকের বৈঠকে যার যার দলের প্রতিবেদন, চাহিদা এবং বিজয়ের সম্ভাবনার ভিত্তিতে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। চলতি সপ্তাহেই বিষয়টি দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ৮ দলের এই ঐক্যে যুক্ত হতে আরও কিছু দল যোগাযোগ করছে বলেও জানা গেছে।
ইসলামি সরকারের স্বপ্ন: লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণ যে বৈষম্যহীন ইনসাফের বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, তা একমাত্র ইসলামি শক্তির সরকার ক্ষমতায় এলেই বাস্তবায়ন সম্ভব। চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে তা সম্ভব নয়।’’
উল্লেখ্য, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনি ভিত্তি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধকরণসহ ৫ দফা দাবিতে গত ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন