জহিরুল হক মিলন, ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিপ্লব কুমার শীল-এর বিরুদ্ধে হিজাব পরিহিত এক শিক্ষার্থীকে পরিহাস করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ নভেম্বর রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফাতিমা আইমান রুহি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে ছাত্রছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কুমার শীলের শাস্তির দাবিতে ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার এনামূল হক-এর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
এই পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষ খন্দকার এনামূল হক ঘটনা তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। কলেজর উপাধ্যক্ষ মোঃ আইয়ুব-কে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিতে আরও রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা আফরোজা বেগম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আমান উল্ল্যাহ মজুমদার, এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ গোলাম মোস্তফা। অধ্যক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন করে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ:
ভুক্তভোগী ছাত্রী ফাতিমা আইরিন রুহি ফেসবুকে দেওয়া তার স্ট্যাটাসে পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, দুপুর ১টার পর টিউশন থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে হলে ফেরার সময় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিপ্লব কুমার দাস তাকে ডেকে নিয়ে তার পরিচয় জানার পর মন্তব্য করেন, "এতো সুন্দরী, মিষ্টিবাসী মেয়ে তুমি নিজেকে এতো অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখলে হবে? এতো আড়াল করে রাখো কেন?" ছাত্রীটি হিজাব নিয়ে প্রশ্ন করলে শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করেন, তবে পরে বলেন, সাহিত্যের স্টুডেন্টদের আরও 'এক্সপার্ট' হওয়া উচিত এবং তাদের দেখেই যেন বোঝা যায়। ক্ষুব্ধ ছাত্রীটি শিক্ষকের নাম জেনে সেখান থেকে চলে আসেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন শিক্ষক কি একজন শিক্ষার্থীর পোশাক বা সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখেন?
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কুমার শীল এবং ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও গণমাধ্যমকে তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এম.এম/সকালবেলা
মন্তব্য করুন